ঢাকা | বুধবার
১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সরকারের

প্রাকৃতিক-দুর্যোগ-মোকাবিলায়-ব্যয়-বৃদ্ধি-পাচ্ছে-সরকারের

দেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ। এসব দুর্যোগে ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় নেমেছে দরিদ্ররা, রাস্তাঘাট নানা স্থাপনার ক্ষতি হচ্ছে, ফসল নষ্ট হচ্ছে, মৃত্যুসহ বিভিন্ন বিপদে পড়ছে বাংলার মানুষ। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের এসকল প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের ব্যয়ও ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নানা প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে। ইতোমধ্যে এর মধ্যে গত ৩-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত তিনটি একনেক সভায় মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এই চার প্রকল্পে সরকার খরচ ব্যয় করবে মোট ৮ হাজার ৫৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যার পুরো খরচ বহন করতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ তিনটির মধ্যে ৩ নভেম্বরের একনেকে সভায় ‘যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্পে ৫৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। ১৭ নভেম্বর একনেকে ‘যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা’ প্রকল্পে ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সর্বশেষ গত ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য ‘খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আর এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্যই বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন ইউনিটের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম. জাকির হোসাইন খান জানান, বর্তমানে দেশে ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা বাড়ছে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম উপসর্গ। সামনের দিনগুলোতে এটা আরও বৃদ্ধি পাবে। যে ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে, তাতে এটা বাড়বে। দুর্যোগ আরও বাড়বে সেটা ধরে নিয়েই এখন থেকে আমাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

জাকির হোসাইন বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, এই জাতীয় অর্থ দেবে শিল্পোন্নত রাষ্ট্রগুলো। তবে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, তারা অর্থ দিতে বাধ্য।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন