চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ। নভেম্বরেও রেমিট্যান্সের উচ্চপ্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন বা ২০৭ কোটি ডলার। নভেম্বরসহ টানা তিন মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে দেশে ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেকর্ড ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান প্রবাসীরা। এরপর আগস্টেও ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স আসে যথাক্রমে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ও ২১১ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রবাসীরা সর্বমোট ১ হাজার ৯০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৭৭১ কোটি ৬২ লাখ ডলার। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহামারীর মধ্যে প্রবাসীরা আগের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন, এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় আশীর্বাদ। রেমিট্যান্সে বড় প্রবৃদ্ধির কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।
আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে রেমিট্যান্সের কারণে ব্যাংকগুলোতে প্রতিনিয়ত নতুন তারল্য যোগ হচ্ছে। এতে দেশের মুদ্রাবাজারে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এ মুহূর্তে অনেক বেশি লিকুইড।
আনন্দবাজার/ইউএসএস