রোবাস্তা কফি উৎপাদন ও রফতানির জন্য ভিয়েতনাম সারাবিশ্বে পরিচিত এবং জনপ্রিয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ধাক্কা আর উৎপাদনে মন্দাভাব থাকায় রফতানিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২০ সালের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পানীয় পণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে। নভেম্বরে দেশটি থেকে কফি রফতানিতে সাড়ে ৩৭ শতাংশ পতন দেখা গেছে।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের (জিএসও) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকারি তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বমোট ১৪ লাখ ১০ হাজার টন কফি রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
এদিকে মাসভিত্তিক হিসাবে সর্বশেষ নভেম্বরে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বমোট ৭০ হাজার টন কফি রফতানি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস। এ সময় দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটি রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
মূলত কভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কফির চাহিদা তুলনামূলক কমে এসেছে। এরই ফলশ্রুতিতে বছরের প্রথম ১১ মাসে ভিয়েতনাম থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানি কমতির দিকে রয়েছে।
তবে শীত মৌসুমে বিশ্বজুড়ে কফির চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকায় চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে ভিয়েতনাম থেকে পণ্যটির রফতানি। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও এবারের শীতে ভিয়েতনামের কফি রফতানি বাড়তে পারে বলে আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস