এক কোটির বেশি মোবাইল সংযোগ দেওয়া হলেও টাওয়ার হয়েছে মাত্র হাতে গোনা। ফলে চুক্তির শর্ত জটিলতায় টাওয়ার নির্মাতা কোম্পানিগুলোর ওপর দায় চাপিয়ে টেলিকম অপারেটরা জানায়, পর্যাপ্ত টাওয়ার না হওয়াতে বর্তমানে গ্রাহক সেবার মান কমছে।
অপরদিকে শর্ত নিয়ে জটিলতাকে টাওয়ার না বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে টাওয়ার কোম্পানিগুলো। এদিকে আগামী ৩ মাসে সাড়ে পাঁচশ মোবাইল টাওয়ার না বানালে জরিমানার সম্মুখে পড়তে হবে বলে হুমকি দিয়েছে বিটিআরসি।
টেলিকম সেবায় গুণগত মান বজায় রাখতে গ্রাহক সংখ্যার সাথে সমন্বয় করে বৃদ্ধি করতে হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার। বর্তমানে দেশে মোবাইল সংযোগ ছাড়িয়ে গেছে ১৬ কোটি ৭১ লাখ। অথচ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হয়নি ২ বছরে। টাওয়ারের সংখ্যা আটকে আছে ৪২ হাজারেই। দু’বছর আগে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লাইসেন্স পায় আলাদা কোম্পানি। সেই থেকেই চুক্তির শর্ত জটিলতায় টাওয়ার নির্মাণে খুবই ধীরগতি চলছে।
রবি হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম জানান, সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্টের আদলে টোটাল কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট তাদেরকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতি সম্প্রতি ২ টি অপারেটর সাইন করেছে। আমরা যে ২ বছর ধরে টাওয়ার তৈরী করতে পারিনি, সেই ব্যকলকটা আমরা সারিয়ে উঠতে পারিনি।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি জানায় ২০২১ সালের মধ্যে দুটি কোম্পানি সাড়ে ৫শ’ টাওয়ার বসাবে। বাকিরাও দ্রুতই শুরু করবে কার্যক্রম। নইলে হবে বড় অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক জানান, আমরা ইতোমধ্যে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছি। টাওয়ার কোম্পানিকে আমরা ৫০ লাখ টাকা ফাইন দিয়েছি। এটা না করে আর উপায় ছিলো না।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে