দেশের বাজারে জনপ্রিয় ভোজ্য তেলগুলোর মধ্যে অন্যতম সয়াবিন তেল। আর এর সিংহভাগই আমদানি হয় আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল থেকে। চলতি মৌসুমে বিশ্বের প্রধান সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশগুলোয় প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এ প্রভাবে কৃষিপণ্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় কমতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)।
আইজিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ মৌসুমে সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৩৪ কোটি ১০ লাখ টনে, যা গত মৌসুমের তুলনায় ১ কোটি ৮০ লাখ টন কম। মূলত পণ্যটির অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ফলন কমে আসার জেরে বৈশ্বিক উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বিপণন বর্ষে (সেপ্টেম্বর-আগস্ট) দেশটিতে প্রতি একরে সয়াবিনের ফলন হতে পারে ৪৬ দশমিক ৯ বুশেল (প্রতি বুশেলে ৬০ পাউন্ড), যা প্রতিষ্ঠানটির আগের মাসের প্রাক্কলনের তুলনায় একর প্রতি এক বুশেল কম।
এছাড়া দেশটিতে এবার কৃষিপণ্যটির আবাদও হ্রাস পেয়েছে। ইউএসডিএর আগের প্রাক্কলনের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে এবার আবাদি জমির পরিমাণ দুই লাখ একর কমে ৭ কোটি ৬৫ লাখ একরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শস্য সংগ্রহ করা যাবে ৭ কোটি ৫৬ লাখ একর জমি থেকে, যা সংস্থাটির সেপ্টেম্বরের প্রাক্কলনের চেয়ে ৩ লাখ একর কম।
সব মিলিয়ে চলতি বিপণন বর্ষে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন হতে পারে ৩৫৫ কোটি বুশেল, যা ইউএসডিএর আগের প্রাক্কলনের চেয়ে ৮ কোটি ৩০ লাখ বুশেল কম।
আনন্দবাজার/ইউএসএস