করোনাকালীন সময়ে শিল্পকলার মঞ্চে এমনিতেও খুব একটা দর্শকের দেখা না মিললেও শুক্রবার স্টুডিও থিয়েটার হল ছিল লোক সমাগমপূর্ণ। পুরো হলজুড়ে ছিল উৎস নাট্যদলের জয়জয়কার। দর্শকসারির পূর্ণ উপস্থিতিই বলে দেয় নাট্যদলটির সফল শো এর কথা।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হয় উৎস নাট্যদলের সপ্তম ও অষ্টম প্রযোজনা ‘লেবাস’ ও ‘পতাকায় বঙ্গবন্ধু’। একই হলে এক টিকিটে দুইটি নাটকের শো ছিল অনেকটাই আকর্ষণীয়। নাটক দুটিরই রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইমরান হোসেন ইমু। দুটি নাটকেরই দলগত পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত।
আমাদের সমাজে অপরাজনীতি, ভন্ডামি, অশিক্ষা ও ধর্ম ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মুখোশধারীদের উন্মোচনের বিষয়বস্তু ফুটে উঠেছে ‘লেবাস’ নাটকে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অবর্ণনীয় ভাবে দাফনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী বঙ্গবন্ধুর বাল্যববন্ধু আব্দুল মান্নানের একখন্ড জবানবন্দীকে রুপকভাবে তুলে ধরা হয়েছে ‘পতাকায় বঙ্গবন্ধু’ নাটকে।
নাটক দুটির নির্দেশক ও উৎস নাট্যদলের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমু বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে স্থবীর হয়ে পড়া থিয়েটার চর্চাকে বেগবান করতেই আমাদের এই আয়োজন। দর্শকের উপস্থিতিই বলে দেয় নাট্যপ্রেমী দর্শক আবার হলে ফিরতে শুরু করেছে। ভালো নাটকের মঞ্চায়নই পারে পরিপূর্ণ হল ভর্তি দর্শকের নিশ্চয়তা দিতে। উৎস নাট্যদল বরাবরই ভালো নাটক উপহার দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই শিল্পমান বজায় থাকবে। যে সকল নাট্যস্বজন এবং সকল দর্শক যারা এই করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব মেনে নাটক দেখতে এসেছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমার অসীম অকৃজ্ঞতা ও ভালবাসা।
এদিকে, উৎস নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি আরও বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা নতুন প্রযোজনার কাজ শুরু করবো এবং তার জন্য নতুন নাট্যকর্মী সংগ্রহের কাজ চলছে।
আনন্দবাজার/শাহী