ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়া মহাস্থানহাট সবজিতে ভরপুর

প্রতি বছরের ন্যায় এরারো উত্তরবঙ্গে শীতের তীব্রতার সূচনা হয়েছে। বন্যার ব্যপক ক্ষতি সাধনের পরেও কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন রকমের সবজি বাজর জাত করে চলেছে, যেন ব্রত করে বসেছে সবজি চাষ করেবই তারা। তারই বহিপ্রকাশ মহাস্থান হাটে গেলেই দেখা যায় হরেক রকমের সবজি সমাহার।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে মহাস্থান সবজির হাট ঘুরে দেখা যায়, শিবগঞ্জ, বগুড়া সদর ও মোকামতলা, আমতলী দাড়িদহ এলাকার সবজি উৎপাদককারী কৃষকরা বাজারে পর্যাপ্ত সবজির আমদানি করেছে। সকালে একটু দাম বেশি হলেও বেলা বারার সাথে সাথে দাম আরও নিম্মমুখী হয়। এ যেন কৃষকের ভাগ্য নিয়ে খেলা। হঠাৎ এ দরপতনে সবজি চাষীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে।

বাজারে আগত একাধিক সবজি বিক্রেতার সাথে সবজির দরপতনের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন, উত্তরবঙ্গের সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বগুড়া জেলা শীর্ষে, এবার বর্ষায় টানা ৪ বার ফসলের ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি এখনো আমরা পুষে উঠতে পারিনি।

তারা আরও জানান, বর্ষাকাল কেটে আবার জমি পরিচর্যা করে শীতের সবজি উৎপাদন করেছি। শীতে আগাম সবজিতে দাম ভাল পেয়েছি। কিন্তু তখন তেমন ফসলের ফলন তেমন আনতে পারিনি। শীত শুরুতে এবার বাম্পার ফলন হলেও দাম কমতে থাকায় আমাদের মুখে হাসি নেই। বহুকষ্টে উৎপাদিত ফসলের হঠাৎ দরপতনে আমরা এখন দিশেহারা। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, চাহিদার চেয়ে আমদানি-ই বেশি। বাইরের বড়বড় পাইকাড়রা তাদের যেটুকু কাঁচামাল লাগবে তারা সেটুকু কিনেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছে। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় চাষীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে কেউ কেউ সবজি নাম মাত্র দামেও বিক্রি করছে।

শনিবার মহাস্থান সবজিহাট ঘুরে সবজির মূল্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগেও যে ফুল কপি ছিল, ১২০০থেকে ১৪০০টাকা মণ, এখন তার দাম দাড়িছে ৪০০থেকে ৪৫০টাকা মণ। যে মুলার দাম ছিল, ৮০০ থেকে হাজার টাকা মণ সেই মুলা এখন ১০০থেকে ১৫০ টাকা মণ। বাজারে অন্যান্য সবজির একই ভাবে দরপতন দেখা গেছে। হঠাৎ বাজারে দরপতনের কারণে অনেক কৃষকের চোখে মুখে হতাশার ছাপও দেখা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, আমাদের এলাকার সবজির দেশের বিভিন্ন বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে বাজার দর হঠাৎ বাড়ছে আবার কমছে।

আনন্দবাজার/শাহী/শেখর

সংবাদটি শেয়ার করুন