আদালতে টিকছে না ট্রাম্পের দায়ের করা কোন মামলাই। একের পর এক মামলা খারিজ করছে আদালত। সম্প্রতি পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ভোট কারচুপির অভিযোগে ট্রাম্পের দায়ের করা আরও একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালত।
তিন বিচারপতির প্যানেল জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির অভিযোগের কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। ফলে গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মামলাটি পুরোপুরিভাবে খারিজ করা হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় দাবি করেন, বহু জালিয়াতি ভোট পড়েছে নির্বাচনে। বাইডেন তখনই হোয়াইট হাউসে বসবেন, যখন প্রমাণ হবে নির্বাচনে তার পাওয়া ৮ কোটি ভোট অবৈধ নয়।
তবে ট্রাম্প মনোনীত আপিল বিভাগের বিচারপতি স্টিফেনোস বিবাস জানান, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগের পক্ষে যেসকল প্রমাণের প্রয়োজন হয় তার কোনোকিছুই উত্থাপন করতে পারেনি রিপাবলিকান পার্টি।
নির্বাচনে হেরে যাওয়া ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা অনিয়ম এবং অবৈধ ভোট দিয়েছে অভিযোগ তুলে মামলা করেন ট্রাম্প। যদিও প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় একের পর এক মামলা খারিজ করে দিচ্ছেন আদালত। আর এতে নেমে গেছে ট্রাম্পের তর্জন-গর্জন।
অপরদিকে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট চেয়ার ছাড়ার সময়ও অনেক ঘনিয়ে আসছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এবং ওই দিন ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। যদিও ট্রাম্প এখনও নিজেকে বিজয়ী দাবি করে পরবর্তী সময় কী হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, গেল ৩ নভেম্বরের ৫৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যায় ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে বসতে যেখানে প্রয়োজন ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট, যেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন পান ৩০৬টি ভোট। আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে