সাধারণত সবজি হিসেবেই করলা বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু এর তিতা স্বাদের জন্য অধিকাংশ মানুষই খেতে পছন্দ করেন না। তবে করলার রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। রান্না করার পাশাপাশি নানা স্মুদি ও সবজির জুসের পুষ্টিগুণ বাড়াতে করলা মেশানো হয়ে থাকে।
এটি উচ্চরক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও লিভার পরিষ্কার ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও ব্যাপক সহায়তা করে করলা। করলার উপকারিতা লাভের আরও একটি উপায় হলো করলার তেতো চা পান করা। শুকনো করলার টুকরাকে পানিতে ভিজিয়ে রেখে চা তৈরি হয়। সেই সাথে ওষুধ হিসেবে বিক্রি হয় করলা।
এর গুঁড়া বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়। এই চা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়। ওজন কমানোর পাশাপাশি আরও বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের উপকার করে। এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে ফলে বদহজম রোধ করে।
এই চায়ে উপস্থিত ভিটামিন সি কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
জেনে নিন কীভাবে এই চা তৈরি করবেন-
কিছু শুকনো বা তাজা করলার টুকরো, পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। তবে করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু করলা সহজলভ্য তাই করলা ব্যবহার করুন। পানি ফুটিয়ে এর মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য পানিতে একেবারে মিশে যায়। চুলা থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে