বিশ্ববাজারে এলএনজির শীর্ষ তিন আমদানিকারক দেশ জাপান, চীন, ও দক্ষিণ কোরিয়া। এসব দেশে যত বেশি শীত পড়ে, জ্বালানি পণ্যটির দাম ততই বাড়তে থাকে। কেননা শীতের আগেই এসব দেশ এলএনজি আমদানি করে রাখে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
শীত শুরুর আগেই আমদানি বাড়তির পথে থাকায় এশিয়ার বাজারে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (২৭ দশমিক শূন্য ৯৬ ঘনমিটার) এলএনজির গড় দাম উঠেছিল ৭ ডলার ৫০ সেন্টে। চলতি বছর এশিয়ার বাজারে এটাই জ্বালানি পণ্যটির সর্বোচ্চ দাম।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে এশিয়ার দেশগুলোয় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা বৃদ্ধির চাপ সামলাতে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশির ভাগ দেশ এ সময় বাড়তি এলএনজি আমদানি করে। এ ধারাবাহিকতায় বাড়ে জ্বালানি পণ্যটির দামও।
এ পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শীতকালীন চাহিদা বৃদ্ধির চাপ এরই মধ্যে মোকাবেলা করেছে এলএনজির বাজার। আগামী দিনগুলোয় এশিয়ার বাজারে এলএনজির চাহিদা হয়তো খুব একটা বাড়বে না। দামও থাকতে পারে নাগালের মধ্যে।
২০ নভেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজির গড় দাম ৬ ডলার ৪০ সেন্টে নেমে এসেছে। এর আগের সপ্তাহেও এশিয়ার বাজারে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজির গড় দাম ছিল ৬ ডলার ৮৫ সেন্ট। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যটির গড় দাম কমেছে ৪৫ সেন্ট। আর বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কমেছে ১ ডলার ১০ সেন্ট।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ সময়ে এসে বেশির ভাগ দেশে শীত শুরু হয়ে গেছে। এখন মূলত ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে এলএনজি বিক্রি হচ্ছে। তাই শীতের বাড়তি চাহিদার চাপ সামাল দিতে ক্রেতা দেশগুলো অক্টোবরেই এলএনজি আমদানি করে ফেলেছে।
মূলত এ কারণে গত মাসের শেষ সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে উন্নীত হয়েছিল। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে এলএনজির দাম। চাহিদায় বড় ধরনের উত্থান দেখা না গেলে আগামী দিনগুলোতেও এশিয়ার বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দাম কমতির দিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
আনন্দবাজার/ইউএসএস