ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে

 গাইবান্ধার হাট-বাজারগুলোতে ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। ফলে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির মূল্য নেমে এসছে অর্ধেকে। তাই সবজি বাজারে মূল্য কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ নানা সবজির বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সম্প্রতি সকল ধরনের কাঁচা তরিতরকারির মূল্য কমায় হাসি দেখা গেছে ক্রেতাদের মুখে।

বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, মূলা ৪ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, শসা ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত কয়েকদিন আগেও দাম ছিল দ্বিগুণ।

চলতি বছর গাইবান্ধায় ভয়াবহ বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষকদের ধান, পাট ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন শীতকালীন সবজি চাষে। ফলে ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজি।

খুচরা বিক্রেতা জাকিরুল ইসলাম জানান, সপ্তাহ খানেক পরে আরও শাক-সবজি আমদানি হলে বর্তমান বাজার মূল্য যেটি রয়েছে, সেটি অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।

কৃষক খবির উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রবিশস্য আবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে উৎপাদিত কিছু শাক-সবজি বাজারে বিক্রিও করা হয়েছে। বাম্পার ফলন অনুযায়ী বাজার মূল্য যেটাই হোক না কেন, তবুও লাভবান হওয়া সম্ভব।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ৮ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন