ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ে ২৮ হাজার ৩শত ৬৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

নওগাঁর আত্রাইয়ে চলতি মৌসুমে মোট ২৮ হাজার ৩শত ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরোসহ শীতকালিন ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রবি শস্যের চাষ পুরোদমে শুরু হয়েছে। চাষীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন শীতকালিন ফসলের চাষাবাদ নিয়ে। গত বছরেরর ন্যায় এবারও আবহাওয়া ভালো থাকায় এসব ফসলের ফলন বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আত্রাই উপজেলায় ১৮ হাজার ৮শত ৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। গত বছর ইরি-বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল ১৭ হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে ২শত ৭৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল ২ শত ৫৫ হেক্টর জমি। আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪শত ৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৫হাজার ১শত ৫৫ হেক্টর এবং সবজি ৪শত ৭৫ হেক্টর জমি।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মো. মুকুল হোসেন, ফৈরদৌস হোসেন ও ডিজেল জানান, এ বছর ধানের দাম বেশি থাকায় ধান চাষের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া সম্পন্ন হচ্ছে। হাতিয়াপাড়া গ্রামের সবজি চাষি মোসলেম উদ্দিন জানান, এ বছর আমি ৮শতাংশ জমিতে লালশাক, পালং শাক ও ১০ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শীতকালিন সবজি খুব ভালো হয়েছে। বাজারে এগুলোর দাম বেশি হওয়ায় আমি খুব খুশি ও লাভবান হয়েছি। এছাড়া বাজারে ভালো দাম থাকায় কৃষকরা শতিকালিন সবজি চাষে ঝুকেছে।

কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের আলু চাষি এনামূল হক টিক্কা জানান, গত বছর ৫ বিঘা জমিতে আলু ও ২ বিঘা জমিতে গম চাষ করে ভালো ফলন ও বেশি দাম পেয়েছি। এ বছর আরো বেশি জমিতে আলু ও গম চাষ করব। আবহাওয়া ভালো থাকলে আলু ও গমের ফলন বেশি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে. এম কাউছার হোসেন বলেন, এ বছর যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে বোরোসহ শীতকালিন রবি শস্য ভালো উৎপন্ন হবে বলে আমি আশা করি। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে সর্বক্ষণ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

আনন্দবাজার/শাহী/নাহিদ

সংবাদটি শেয়ার করুন