করোনার প্রার্দুভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের চা রফতানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৮ শতাংশ কমে যেতে পারে পণ্যটির রফতানি।
মূলত করোনা মহামারির সময় উৎপাদন সীমিত হয়ে আসা ও সিটিসি গ্রেডের চায়ের বাড়তি দামের কারণে দেশটি থেকে পানীয় পণ্যটির রফতানিতে মন্দা ভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইটিইএ)।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারত থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বমোট ২৫ কোটি কেজি চা রফতানি হয়েছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পানীয় পণ্যটির রফতানি ২৮ শতাংশ কমে ১৮ কোটি কেজিতে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারত থেকে চা রফতানি কমতে পারে ৭ কোটি কেজি।
এ বিষয়ে আইটিইএর চেয়ারম্যান অংশুমান কনোরিয়া বলেন, ভারতের চা রফতানি কমার পেছনে করোনা মহামারির প্রভাব সুস্পষ্ট। লকডাউনের সময় থেকে উৎপাদন কমেছে। বাড়তির দিকে রয়েছে দাম। এর প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক রফতানিতেও।
চলতি অর্থবছরে অর্থোডক্স চায়ের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা পানীয় পণ্যটির রফতানি কমাতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
অন্যদিকে সিটিসি গ্রেডের চা ভারতের মোট রফতানি হওয়া চায়ের প্রায় ৬০ শতাংশ। গত জুলাই-আগস্টে এ গ্রেডের চায়ের গড় দাম এক বছরের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০০-১২০ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) বেড়েছে। বাড়তি দাম পানীয় পণ্যটির রফতানি কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস