নদীর পানি কমে যাওয়া ও আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় বাজারে বাড়ছে মাছের সরবরাহ। এদিকে মানিকগঞ্জের তরাঘাটের আড়তে সব ধরনের মাছের দাম কমেছে। তবে জেলেরা বলছেন, পাইকাররা লাভবান হলেও দাম পাচ্ছেন না তারা।
২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ আড়তে বেচাকেনা জমজমাট হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত বলে জানান আড়তের সভাপতি।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল হওয়ার সাথে সাথে জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে সরগরম মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের তরতাজা দেশীয় মাছের আড়ত।
বাজারে কেজিপ্রতি শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ থেকে ৩শ টাকায়, টেংরার কেজি ১০০-১২০ টাকা, ছোট আকারের শিং ২শ আড়াইশ টাকা, ছোট বাইম সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকায়, রুই ১৮০-২শ টাকা, বোয়াল ৬শ – ৮শ, পদ্মার পাঙাশ ৬শ -৭শ টাকা আর কেজিপ্রতি কাতল বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে ১৬০ টাকায়।
পদ্মা-যমুনা, কালিগঙ্গা, ইছামতি, ধলেশ্বরী নদী ও মুক্ত জলাশয়ের শোল, শিং, বাইন, রুই, বোয়াল, পাঙাশ, কাতালসহ নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ মিলে এ বাজারে।
আড়তে পাইকাররা মাছ কিনে লাভবান হলেও জেলেরা বলছেন, ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তারা। তাদের অভিযোগ, কম দামে কিনে নিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন পাইকাররা।
আনন্দবাজার/ইউএসএস