কমবেশি অনেকেই অ্যাজমার সমস্যায় ভোগে থাকে। আমাদের শরীরে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে সহায়তা করে ফুসফুস। তবে চলমান মহামারি করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আপনার ফুসফুস। তাই ফুসফুসকে ভালো এবং সতেজ রাখতে এখনই প্রয়োজন সতর্কতা।
আসুন জেনে নেই কীভাবে ফুসফুস ভালো ও পরিষ্কার রাখা যায়-
১. আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনাবাদামসহ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে। সেই সাথে খনিজ লবণ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসকল খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
২. মধুতে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ও প্রদাহনাশক ক্ষমতা, যা ফুসফুস পরিষ্কার করে। ফলে প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে তা হবে ফুসফুসের জন্য ব্যাপক উপকারী।
৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি’র অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এর মূল উৎস সূর্য। এ ছাড়া ডিম, মাছ, দুধ, দই, মাংস ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে।
৪. তুলসী পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফুসফুস সুরক্ষায় খুবই কার্যকর। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী পাতা। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে তুলসীপাতার রস কিংবা এই পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করুন।
৫. ফুসফুস ভালো রাখতে কালোজিরার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন আধা চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।
৬. ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করে। শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে এবং শ্বাসনালির জীবাণু ধ্বংস করে। লেবু, পেয়ারাআপেল, আমলকি, কমলা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
৭. রসুনে রয়েছে প্রচুর সেলিনিয়াম ও অ্যালিসিন। এ দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ফুসফুস ও শ্বাসনালি ভালো রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে।
৮. শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম করলে ফুসফুস ভালো থাকে। এ জন্য এরোবিক্স, ইয়োগা বা কার্ডিও এক্সারসাইজ প্রতিদিন করতে হবে।
৯. গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ফ্ল্যাবিনয়েড নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফুসফুসের কার্য পরিচালনায় সাহায্য করে। সে সাথে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
১০. হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কারকিউমিন ফুসফুসকে দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে সুরক্ষা করে। সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে কাঁচা হলুদের রস করে মাখন বা ঘির সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ করে।
১১. সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ফুসফুস ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে