শুধু মনেটাইজেশন নীতির অধীনে রয়েছে বর্তমানে এমন ইউটিউবারদেরকে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের অংশ দেয় ইউটিউব। তবে এ দৃশ্যপট বদলে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। ছোট ইউটিউবার যারা মনেটাইজেশন নীতির আওতায় নেই বা যেই ইউটিউবের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য যথেষ্ট রসদ নেই এবার তারাও বিজ্ঞাপনের আওতায় আসবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, এরকম ছোট ইউটিউবারদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন ঠিকই প্রচার হবে, তবে বিজ্ঞাপনী আয়ের পুরোটাই রেখে দেবে ইউটিউব। এর জন্য নিজেদের শর্তাবলীতেও পরিবর্তন আনছে ইউটিউব। অর্থাৎ গোটা প্ল্যাটফর্মেই বাড়বে বিজ্ঞাপন।
ইউটিউবের বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এক হাজারের বেশি হলে এবং এক বছরে ওয়াচটাইম চার হাজার ঘণ্টার বেশি হলে, ওই চ্যানেল মনেটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারে।
ইউটিউব জানায়, ছোট ইউটিউবাররা মনেটাইজেশনের উপযুক্ত হলে আবদন করতে পারবেন এবং বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন।
গ্রন্থকার ও সাংবাদিক ক্রিস স্টোকেল-ওয়াকার বরেছেন, ছোট নির্মাতারা যারা কর্মসূচীর অংশ নন, তারা কোনো বিজ্ঞাপনী অর্থ আয় ছাড়াই ভাইরাল সফলতা পাবেন।
তিনি জানান, যদিও নির্মাতারা এ সফলতাকে কাজে লাগিয়ে স্পন্সরশিপ বা উপস্থিতির মতো বিকল্প উপায়ে অর্থ আয় করতে পারবেন। কিন্তু তারপরেও ইউটিউবের এ সিদ্ধান্ত অদ্ভুত মনে হচ্ছে।
ওয়াকার আরও বলেন, ইউটিউব এরই মধ্যে অযৌক্তিকভাবে প্রচুর অর্থ আয় করছে। এটি এমন একটি নীতির পরিবর্তন, যাতে করে সাধারণ নির্মাতাদের সঙ্গে সমস্যা বাড়বে, যারা প্রায়ই অনুভব করেন ইউটিউব তাদের কনটেন্ট দিয়ে ব্যবসা করছে, তাদেরকে সঠিক হিস্যা না দিয়েই বা প্ল্যাটফর্মের সাফল্যে তাদেরকে স্বীকৃতি না দিয়ে।
আনন্দবাজার/টি এস পি