বিভিন্ন করস্বর্গে পাঠানোর ফলে বিশ্ব প্রতি বছর ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খোয়াচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রথমবারের মতো এ গবেষণার বরাতে টিজেএন এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে কভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে, সেখানে অনেকে কানাগলি দিয়ে করস্বর্গে শতকোটি ডলার চলে যাচ্ছে।
ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক (টিজেএন) কর্তৃক শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ছাতা সংগঠন হিসেবে কাজ করছে নেটওয়ার্কটি। তারা প্যারিসভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
সেইসাথে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস থেকে ২০১৮ সালের সংগৃহীত উপাত্ত মূল্যায়ন করেছে তারা।
টিজেএন তাদের গবেষণার উপসংহারে বলেছে, আন্তর্জাতিক করপোরেট কর এবং ব্যক্তিগত কর ফাঁকির কারণে বিভিন্ন দেশ প্রতি বছর ৪২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খোয়াচ্ছে। তারা বলছে, যে পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে, তা বিশ্বের ৩ কোটি ৪০ লাখ নার্সের বেতনের সমপরিমাণ।
টিজেএনের হিসাবে, বিভিন্ন কোম্পানি যে পরিমাণ কর ফাঁকি দিচ্ছে, তার পরিমাণ হচ্ছে ২৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বিভিন্ন ব্যক্তি যে কর ফাঁকি দিয়েছে, তার পরিমাণ ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে, বহুজাতিক করপোরেশনগুলো করস্বর্গের মাধ্যমে ১ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার মুনাফা পাচার করছে। বিভিন্ন করস্বর্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
টিজেএনের শীর্ষ নির্বাহী অ্যালেক্স কোবহাম বলেন, করপোরেট জায়ান্ট ও নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণাধীন করস্বর্গগুলোর চাপের কারণে আমাদের সরকারগুলো বৈশ্বিক কর ব্যবস্থায় ধনী করপোরেশন ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের চেয়ে বেশি মূল্যায়ন করে।
মহামারির সময়ে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে নৈরাজ্যজনক করনীতির কারণে আমরা কেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কর ফাঁকিবাজদের সুবিধা দেয়ার যে নীতি সরকারগুলো অনুসরণ করে আসছে, তাতে সাধারণ মানুষ ভুগছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস