শীত মৌসুমে পাম অয়েল জমে যাওয়ায় প্রতি বছর শীতের সময় বিশ্বজুড়ে ভোজ্যতেলটির চাহিদা কমে আসে। এর জেরে কমতে থাকে ভোজ্যতেলটির দাম। তবে এবার পাম অয়েলের বাজারে ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
২০২০ সালের শেষ দিকে শীত জাঁকিয়ে বসলেও পাম অয়েলের দাম বাড়তি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এফজিভি হোল্ডিংস বারহাদ।
মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ও আবহাওয়াগত অনিশ্চয়তায় চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ায় পাম অয়েলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফলে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ থাকতে পারে সীমিত। মূলত এ পরিস্থিতি মালয়েশিয়ার বাজারে শীত মৌসুমেও পাম অয়েলের দাম বাড়তি রাখতে পারে।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন অপরিশোধিত পাম অয়েল ৩ হাজার ৩৩০ রিঙ্গিতের (স্থানীয় মুদ্রা) আশপাশে বা ৮১০ ডলারের ওপরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বছরের শেষ ভাগে এসে পাম অয়েলের দাম কমতে পারে বলে মনে করছিলেন বাজার বিশ্লেষকরা। ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ৩ হাজার ডলারের নিচে নামতে পারে বলে মনে করেছিলেন অনেকেই।
আনন্দবাজার/ইউএসএস