ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবাইকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় সাধু

সকলের চোখ আড়াল করে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন নাট্য নির্মাতা ও অভিনেতা হুমায়ূন সাধু। গত বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশবরেণ্য নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আবারও ব্রেন স্ট্রোক হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় চিরবিদায় নেন তরুণ এ অভিনেতা ও নির্মাতা। সাধুর মৃত্যুর দিন থেকেই অঝরে কেঁদে চলেছে আকাশ।

চট্রগ্রামে জন্ম নেওয়া সাধুর জন্য শুধু আকাশ নয়, কাঁদছে ফেসবুকও। রাত থেকেই দেশের ফেসবুক ছিল শুধু সাধুময়। প্রায় সকলেই সাধুর স্মৃতিচারণ করেছেন ফেসবুকে। ফেসবুকে সমবেদনা জানিয়েছেন সাধুর সহকর্মীরাও।

সাধুর গুরু সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তুই সময় দিছিলি আমাদের তৈরি হওয়ার। আমরা হয়তো তৈরিও হইছিলাম। কিন্তু মানুষ বোধ হয় কখনোই প্রিয়জনের বিদায়ের জন্য তৈরি হইতে পারে না রে, সাধু!’

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, সাধুর সাথে একটা নাটকেই অভিনয় করা হয়েছিল। বয়স আর উচ্চতা দুটোতেই সে আমার চেয়ে ছোট। অন্তত ওর জীবনটা আরও বড় হতে পারতো! বিধাতার বিচার টা যেন কেমন! প্রথম দেখাতেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, কেমন আছিস ভাই? উত্তরে যা বলেছিল, এখনো কানে বাজছে! আর কখনোই দেখা হবে না সাধুর সাথে। পরপারে ভালো থাকিস ভাই।

হুমায়ূন সাধু একাধারে অভিনেতা, পরিচালক ও নাট্যকার। মেড ইন বাংলাদেশ সিনেমা দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। হুমায়ূন সাধু অভিনীত আলোচিত টেলিছবি হচ্ছে ‘ঊন মানুষ’। তার পরিচালিত আলোচিত একটি নাটকের নাম ‘চিকন পিনের চার্জার’। চলতি বছরের একুশে বইমেলায় তার লেখা একটি উপন্যাসও প্রকাশ হয়েছে।

এদিকে এরই মধ্যে হুমায়ূন সাধুর ফেসবুক আইডি রিমেম্বারিং ঘোষণা করেছে ফেসবুক। সেখানেও দেখা মিলছে সাধুকে নিয়ে মানুষের কান্নার বৃষ্টি।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন