ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানের মুখে চিংড়ি চাষিরা

প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও মহামারি করোনার সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো চিংড়ি খাত। কিন্তু এরমধ্যে মাছের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন বাগেরহাটের চিংড়ি চাষিরা। গলদা চিংড়ি উৎপাদনের ভরা মৌসুমেও বাজারে কাঙ্খিত দাম মেলেনি চিংড়ির।

দেশের সবচেয়ে বেশি চিংড়ি মাছ উৎপাদন হয় বাগেরহাটে। জেলায় উৎপাদিত চিংড়ির ৯০ শতাংশই রফতানি হয় বিদেশে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈশ্বিক মহামারি করোনায় রফতানি কমে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

ভরা মৌসুমে ঘের থেকে গলদা চিংড়ি ধরে বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে দাম কম পাওয়ায় চাষিরা উদ্বিগ্ন। এক সপ্তাহে আকারভেদে প্রতি কেজি গলদা চিংড়ির দাম ২০০-৩০০ টাকা কমেছে।

চিংড়ি চাষিদের অভিযোগ, মাছের খাবার ও আনুষঙ্গিক সবকিছুর দাম বাড়লেও গলদার দাম কমায় লোকসানের মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা।

জনপ্রতিনিধির দাবি, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কারণে লাভের মুখ দেখতে পায় না চাষিরা। তাই চিংড়ি শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছুদিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক। রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হলে দাম বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন