ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ীতে আগাম কপি চাষে লাভে আশায় কৃষক

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বন্যা ও বিভিন্ন দুর্যোগ কাঁটিয়ে প্রান্তিক কৃষকরা লাভের আশায় শীত মৌসুমে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। অল্প কয়েকজন কৃষক বিক্রি শুরু করলেও ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পুরোদমে  বিক্রি শুরু করতে পারবে সব কৃষকরা।

যে সব কৃষকের নিজস্ব জমি নেই তারাও অন্যের জমি লিজ (কন্ট্রাক) নিয়ে আগাম হাইব্রিট জাতের কপি সহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোন জমি আর পতিত নেই। বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমাহার। উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের জাগিরটারী, চর-গোরকমন্ডপ, বস্তি গোরকমন্ডপ,বালাতারী, পশ্চিমফুলমতি ও কৃষ্ণনন্দ বকসীসহ শত শত কৃষক জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকটিসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ হয়েছেন।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক গোরকমন্ডল গ্রামের কৃষক আব্দুল সাত্তার, হাসেম আলী ও কৃষ্ণনন্দ বকসী গ্রামের আব্দুল লতিফ ও কেতারু মামুদ জানান, নানা দুর্যোগ কাঁটিয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফুলকপি-বাঁধাকপি আগাম চাষ করেছি। তারা প্রত্যেকেই কেউ দেড় বিঘা আবার কেউ দুই থেকে তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি লাগিয়েছেন।

তারা আরও জানান প্রতি বিঘা ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ বছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন ও ভাল দাম থাকায় প্রতি বিঘায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। কয়েকদিন পরেই বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান , এ বছর কৃষকরা নানা দুর্যোগ কাঁটিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শে আগাম হাইব্রিট জাতের ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করেছেন। উপজেলায় কৃষকরা ফুলকপি ৬০ হেক্টর ও বাঁধাকপি ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ করেছে। কিছু এলাকায় কৃষকরা ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি শুরু করেছেন।

আর কয়েকদিন পরেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি ও বাঁধাকপি ব্যাপক হারে বিক্রি শুরু করবেন। বর্তমান ফুলকপির বাজার দর প্রতি মন ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা ও বাঁধাকপি ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি করছেন। ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামও ভাল থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন