বর্ষা এলেও গ্রীষ্মের দাবদাহের মত তাপপ্রবাহ প্রকৃতিতে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এরই মধ্যে নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে লোকজন। বিশেষ করে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া বর্ষার এই সময়টাতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দূষিত পানি পান ও খাবার খাওয়ার ফলে পানিবাহিত ডায়রিয়া রোগটি হচ্ছে। জীবিকার সন্ধানে ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও রিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। অত্যধিক গরমের কারণে মানুষ প্রচুর পরিমাণে ঘামছে। গরমে স্বস্তি পেতে রাস্তার ধারে বরফমিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের শরবত ও ফলমূল (আখ, লেবু, বেল, আনারস, আম ইত্যাদি) খাচ্ছেন। দূষিত পানির শরবত ও খোলা পরিবেশে ধুলাবালি মিশ্রিত ফলমূল খেয়ে ডায়রিয়া হচ্ছে।
গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে বেশি বেশি পানি পান করার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিশুদ্ধ পানিরও সংকট। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রাস্তার ধারের দোকান থেকে যে পানি বা শরবত পান করছে তা বিশুদ্ধ নয়। এ কারণে রোগ সারার বদলে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে
গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে বেশি বেশি পানি পান করার কথা বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিশুদ্ধ পানিরও সংকট। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রাস্তার ধারের দোকান থেকে যে পানি বা শরবত পান করছে তা বিশুদ্ধ নয়। এ কারণে রোগ সারার বদলে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অস্বাস্থ্যকার শরবত বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তারও আগে করতে হবে বিশুদ্ধ পানির সংস্থান। ওয়াসাকে এ ব্যাপারে এ গিয়ে আসতে হবে। ওয়াসার পানি নিয়েও নানা কথা আছে। এ ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। স্যালাইন সহজলভ্য করতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা যেন চিকিৎসা পায় নিশ্চিত করতে হবে সেটিও।
অন্যদিকে ডেঙ্গুর আশঙ্কাও বেড়েছে। বর্ষায় যেখানে সেখানে পানি জমে থাকছে। ফলে এডিস মশার বংশ বিস্তার হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি এডিস মশা যেন বংশ বিস্তার করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার কোনো বিকল্প নেই।