ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীতে জমতে শুরু করেছে শীতবস্ত্রের বাজার

ক্যালেন্ডারের পাতায় এখনো হেমন্তকাল হলেও এরইমধ্যে সারাদেশে শীতের পূর্বাভাস দেখা মিলছে। সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। সারাদিনে রোদের দেখা মিললেও সন্ধ্যা নামার পরপরই তার ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। তবে এখনো জেঁকে বসেনি পুরোপুরি শীত।

তবে এরইমাঝে ফেনীতে শুরু হয়ে গেছে শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন রংবেরঙের শীতবস্ত্র। শহরের বিভিন্ন স্থানে জমতে শুরু করেছে শীত বস্ত্রের বাজার। শহরের বিভিন্ন শপিংমল থেকে শুরু করে ভ্যান গাড়ি কিংবা ফুটপাত সর্বত্র দেখা মিলছে শীত বস্ত্রের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফেনীর ট্রাংক রোডস্থ রাজাঝির দিঘীর পাড়, ট্রাংক রোডের মোড়ে ফুটপাতে, গ্রীণ টাওয়ার, জামান মার্কেট, শহীদ মার্কেট সহ প্রায় সকল মার্কেটেই উঠেছে শীতবস্ত্র। পুরোপুরি শীত না আসলেও এখনই দেখা মিলছে ক্রেতাদের আনাগোনা। আর বিক্রেতারাও ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক সাজিয়েছেন উলের তৈরি সোয়েটার, চাদর, জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, টুপি কিংবা হাতমোজার পসরা।

দোকানিরা জানালেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। আর এক সপ্তাহ ধরে জমে উঠেছে খুচরা বিক্রির বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা।

ফেনীর দিঘির পাড়ের খুচরা ব্যবসায়ী ইউসুফ জানান, শীত আসতে শুরু করায় আগের চেয়ে ক্রেতাদের আনাগোনা তুলনামূলক বেড়েছে, পাশাপাশি বিক্রিও। তিনি জানান, এখানকার পণ্যের মূল্য মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন আয়ের লোকেদের হাতের নাগালে থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই শ্রেণীর লোকেরাই এখানে আসেন আর পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন। তবে কম্বলের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কম্বলের ক্রেতাদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি। দোকানিরা জানান আগামী একমাস পর শীত জেঁকে বসলে কম্বল বিক্রির হার বৃদ্ধি পাবে।

ট্রাংক রোডস্থ জামান মার্কেটের অন্য এক বিক্রেতা কাজী ইসরাফিল রানা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় গত সপ্তাহ থেকে তারা জ্যাকেট, সুয়েটার, গেঞ্জি সহ গরম কাপড় দোকানে তুলতে শুরু করেছেন। ক্রেতাদের বেশ সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। আর শীতবস্ত্রের মূল্যও গত বছরের মতোই রয়েছে।

গ্রীণ টাওয়ারে গরম কাপড় কিনতে আসা মাসুম রাতুল নামের একজন ক্রেতা জানান, দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র পাওয়া গেলেও এর বেশিরভাগই গত বছরের। খুব কম সংখ্যক দোকানেই নতুন পণ্য মজুদ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে তিনি পছন্দমতো একটি জ্যাকেট ক্রয় করেন যার মূল্য পনের শত টাকা।

আনন্দবাজার/শাহী/সুজন

সংবাদটি শেয়ার করুন