চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ৮০ টাকার নিচে কেজি মিলছেনা কোন সবজির দাম। এতে চাহিদানুযায়ী সবজি ক্রয় করতে পারছেন না ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির দাম কমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এদিকে বাজার স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায় ক্রেতারা।
জেলা শহরের প্রতিটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি ৯০-১১০ টাকা, পাতাকপি কেজি প্রতি ৭০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, টমেটো ১৩০-১৫০ টাকা, গাজর ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ৯০-১১০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, জালি পিস প্রতি ৩০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, দেশী করল্লা ৯০-১০০ টাকা, কাকরইল ৭০-৮০ টাকা, প্রতি কেজি ঝিঙ্গা ৪৫-৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা ৫০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে অন্যান্য সবজির দামও আগের তুলনায় বাড়তি রয়েছে। এদিকে, সোয়াবিন (৫ লিটার) তেল ৪৬৫ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৫’শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা সৌরভ আহমদ জানান, বর্তমানে সবজির সরবরাহ থাকলেও তা রাজধানী ঢাকায় যাবার কারণে দাম বাড়তি রয়েছে। তবে, খুব শিগগিরই নাগালের মধ্যে চলে আসবে সবজির দাম।
ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। ফলে চাহিদানুযায়ী সবজি ক্রয় করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ বাজারে মনিটরিং না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের সুযোগ নিচ্ছে।
ক্রেতা শরিফুল আলম জানান, ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি নেই। তবে বাজারে প্রশাসন অভিযান চালালে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
আনন্দবাজার/এম.কে