সম্প্রতি ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন ভামকোর আঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া টাইফুনের আঘাতে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস ও রাজধানী ম্যানিলার আশপাশে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় সময় বুধবার (১১ নভেম্বর) ভোরের দিকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়ে টাইফুন ভামকো। টাইফুনের আঘাতের পর বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে দেশটির সরকারি সংস্থাগুলোকে ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।
শক্তিশালী টাইফুন ভামকোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতাদের সাথে এক অনলাইন বৈঠক সংক্ষিপ্ত করেন রদ্রিগো। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য আঞ্চলিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, গত দুই মাসে ফিলিপাইনে ভামকোসহ অন্তত ৮টি টাইফুন আঘাত হেনেছে। এছাড়া এ বছর মোট ২১টি টাইফুনের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। ফলশ্রুতিতে বছরের বিভিন্ন সময়ে ধেয়ে আসা টাইফুনের আঘাতে হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং লাখো মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরের দিকে টাইফুন ভামকো আঘাত হানার আগে দেশটির সরকার প্রায় ২ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়। দেশটির উত্তাল সাগরে প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে এটি ফিলিপাইনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানে। পরে এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
সূত্র : রয়টার্স।
আনন্দবাজার/শাহী