করোনা মহামারির মধ্যে জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও অভ্যন্তরীণ খাদ্যশৃঙ্খল নির্বিঘ্ন রাখতে প্রায় এক মাস চাল রফতানি বন্ধ রেখেছিল ভিয়েতনাম। এর প্রভাব পড়েছে দেশটির চাল রফতানিতে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কমেছে।
তবে রফতানির পরিমাণ কমলেও চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চাল রফতানি বাবদ ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রায়ত্ত জেনারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিসের (জিএসও) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভিয়েতনামের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বমোট ৫২ লাখ ৯০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।
তবে রফতানির পরিমাণ কমলেও চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চাল রফতানি বাবদ ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
এ সময় খাদ্যপণ্যটির রফতানি বাবদ ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকরা সর্বমোট ২৬০ কোটি ডলার আয় করেছেন বলে জিএসওর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের (অক্টোবরে) চাল রফতানি করে ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের সর্বমোট ১৬ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে চাল রফতানি করে ভিয়েতনামিজ রফতানিকারকদের আয় কমেছে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ।
আনন্দবাজার/ইউএসএস