একদিকে করোনার ধাক্কা অন্যদিকে বৃষ্টি, বন্যা আর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উত্তরাঞ্চলে শুটকি (শুকনো) মাছ ব্যবসায়ীরা চলতি বছর বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি মুখে পড়েছেন।
উত্তরাঞ্চলীয় জেলা নিলাফামারীর সৈয়দপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শুটকি মাছের আড়ত ও নাটোরের চলন বিলসহ অন্যান্য এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুকনা মাছ ব্যবসায়ীদের আগে কখনোই এ রকম লোকসান গুনতে হয়নি।
মো: সানোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শুটকি বেচা-কেনার যে প্রস্তুতি থাকে, তবে এ বছর করোনাভাইরাস ও আম্পানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। আর এ অবস্থায় নিঙ্গন এলাকার সব ব্যবসায়ীকেই গুনতে হচ্ছে লোকসান।
মো: রাসেদুল আলম মামুন বলেন, করোনার কারণে অনেকের শুটকি মাছ এবার গুদামেই নষ্ট হয়েছে। এ বছর শুটকি মাছের ব্যবসায় যে মন্দা চলছে, তা আমার ৩৭ বছরের ব্যবসা জীবনে দেখিনি বলেন তিনি।
সৈয়দপুর শুকনো মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, করোনাভাইরাস ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এ বছর আড়তের ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা।
করোনাভাইরাস বাস্তবতায় সৈয়দপুরে শুটকি মাছের আড়তে যেসব কর্মচারী কাজ করতেন তাদের সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলেও কোনো প্রণোদনা পাননি ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখনো সরকারি প্রণোদনা সহায়তার আওতায় আসেননি। তবে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র: টিবিএস
আনন্দবাজার/ইউএসএস