মার্কিন ডলারের একক আধিপত্যের জন্য বাড়ছে বাণিজ্যিক ঝুঁকি। সেইসাথে আমদানি এবং রপ্তানিকারক দেশগুলোর সাথে সরাসরি বাণিজ্যিক লেনদেন খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগ থাকলে ঝুঁকি এবং বাণিজ্যিক খরচ দুটোই কমে আসে। অন্যদিকে ডলারের বিকল্প না থাকায় বাণিজ্যিক ঝুঁকি দিনদিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) -এর ‘বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের ব্যবহার এবং এর বিকল্প’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিআইবিএম’র অধ্যাপক ড. শাহ মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার কতগুলো কারণের মধ্যে তাদের আত্মবিশ্বাস, বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্থনীতির আকার অন্যতম। এছাড়াও বাংলাদেশের ৮৯ শতাংশ আমদানি পণ্যের বিনিয়োগ সম্পন্ন হয় ডলারের মাধ্যমে। রপ্তানির ক্ষেত্রে এর পরিমাণ আরও বেশি। প্রায় ৯৮ শতাংশ রপ্তানির বিনিময় সম্পন্ন হয় মার্কিন ডলারের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি প্রফেসর ইয়াসিন আলী বলেন, পারিপার্শ্বিক দেশগুলোর বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের ডলার ব্যবহারই নিরাপদ। তবে অন্যান্য মুদ্রায় লাভের সুযোগ থাকলে সেদিকেও আগানো যেতে পারে বলে মনে করেন সাবেক এই ব্যাংকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম আনিসুর রহমান বলেন, মার্কিন ডলার ছাড়া অন্যান্য দেশের সাথে সরাসরি বাণিজ্যিক লেনদেন খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। চায়নার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তাদের সাথে একটি অ্যাকাউন্ট চালু করতে আমাদের দেড় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপরেও সেই চুক্তিপত্রের সমস্ত ভাষা চাইনিজ। ইংরেজিতে ভাষান্তর করার কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাদের। এরকম শর্ত আরোপ করলে যত বড়ই অর্থনীতি হোক না কেন তাদের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনে সরাসরি মুদ্রার ব্যবহার চালু করা খুবই কঠিন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস