বাংলাদেশে কাজুবাদামের চাষ ও উৎপাদনের সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে ১ থেকে দুই হাজার টন কাজুবাদামের উৎপাদন হচ্ছে। যদিও দেশে পাঁচ লাখ হেক্টর কাজুবাদাম চাষ উপযোগী জমি রয়েছে। এখনই দুই হাজার হেক্টর জমিতে কাজুবাদামের চাষাবাদ শুরু করতে পারলে বাংলাদেশের উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে পাঁচ লাখ টনে। এক্ষেত্রে কিছু নীতি ও অর্থায়ন সুবিধা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।
তবে কাজুবাদাম, কফিসহ অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি। নীলফামারীতে অবস্থিত ‘জ্যাকপট কাজুনাট ইন্ডাস্ট্রি’র প্রসেসিং ইউনিট-২-এর উদ্বোধনকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজুবাদাম অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশে কাজুবাদাম চাষ ও উৎপাদনের সম্ভাবনা অনেক। বিশেষ করে, পার্বত্য এলাকা ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় কাজুবাদাম, কফি আবাদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বিদেশে রফতানির জন্যও রয়েছে প্রচুর সুযোগ।
আন্তর্জাতিক বাজারে এসব ফসলের চাহিদা অনেক বেশি। এসব অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতে কৃষক ও উদ্যোক্তাসহ যারা এগিয়ে আসবেন তাদের উন্নত জাতের চারা সরবরাহ, উৎপাদনে পরামর্শ, কারিগরি ও প্রযুক্তিসহ সবক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস