অবশেষে রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়েই মায়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি সুচির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এবং সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি পার্টি।
নির্বাচনে রোহিঙ্গা অধুষ্যিত রাখাইনে ভোটের সুযোগ নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, সংঘাতপূর্ণ রাখাইন, শানের মতো বিভিন্ন এলাকায় ভোট হচ্ছে না। এতে ভোটাধিকার বঞ্চিত ১৫ লাখেরও বেশি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১৫ লাখ মানুষকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করায় এবারের ফল প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। জরিপ অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে সুচির দলকে আবারও ক্ষমতায় চায় ৭৯ শতাংশ মানুষ।
মায়ানমারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিচার্ড হর্সি জানান, সুচির আমলে দেশে সুশাসন কিংবা অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। সুচি সরকার ফের ক্ষমতায় আসলেও ক্ষুদ্র ও নৃগোষ্ঠীগুলো তার ওপর নাখোশই থাকবে। কারণ তাদের ভোটাধিকার ও নেতৃত্ব বঞ্চিত করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় একটি অংশ মায়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে মায়ানমারকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কূটনৈতিক সূত্রগুলোর ধারণা, নির্বাচনের পর মায়ানমারের নতুন সরকারের ওপর এ চাপ আরও বাড়বে।
আনন্দবাজার/টি এস পি