পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকা পেঁয়াজ চাষের জন্য বেশ উর্বর। জেলার নয়টি উপজেলায় মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয় সুজানগর, সাঁথিয়া, সদর ও বেড়া উপজেলায়। জেলাটিতে ৪৫ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় প্রায় ৭ লাখ টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে, চলতি বছর হালি, মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজ মিলে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫২ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৫৪০ হেক্টর। গত বছর পাবনাতে ৫১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিলো।
সুজানগরের কৃষক মো: আলি বলেছেন, এখন যে পেঁয়াজ বুনছি, তা পেঁয়াজ উঠতে মাস আড়াই সময় লাগবে। পেঁয়াজ ঝুঁকিপূর্ণ একটি ফসল। আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারলে একটু লাভ হবে।
পাবনার কৃষকরা অভিযোগ করেন, চাষাবাদের জন্য ব্যাংকে ঋণ চাইলেও কাঙ্খিত ঋণ পায় না তারা। ঋণ পেলে তারা চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে পারতেন। এ সময় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি না করতে সরকারকে অনুরোধ জানান তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আব্দুল কাদের বলেন, পাবনা সারা দেশের পেঁয়াজ আবাদের সমৃদ্ধ একটি জেলা। কৃষকরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে লাগানো শুরু করেছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে এসব পেঁয়াজ উঠবে।
পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা গতবছর লাভবান হওয়ায় এ বছর বেশি আবাদ করবেন বলে ধারণা করছেন তিনি।