ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া

বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া। তবে শ্রম আইনের পরিবর্তন, লভ্যাংশ কমে যাওয়া এবং অবসরকালে কর্মীদের সুবিধাসহ বিদ্যমান কিছু সমস্যা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে এ বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জাং কেইন।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ আশাবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া বাংলাদেশে ষষ্ঠ বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ২০০ কোরিয়ান কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ করেছে। কোরিয়ান ইপিজেড দু’দেশের বন্ধুত্বের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বর্তমানে অবকাঠামো উন্নয়ন, ইলেকট্রনিকস এবং অটোমোবাইল খাতে কোরিয়া বিনিয়োগ করছে। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও হসপিটাল নির্মাণে যৌথ উদ্যোগে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কোরিয়া আরও মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তার সময়কালে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন।

চেম্বার সভাপতি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদান এবং উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কোরিয়ার অবদান উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ ও ২০৪১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। ইপিজেড, কেইপিজেডসহ বাংলাদেশে কোরিয়ান বিনিয়োগ কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ এদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছে।

তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে কোরিয়ান ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন এবং চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানান।

চেম্বার সভাপতি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সম্বলিত মিরসরাই ইকনোমিক জোনে কোরিয়ান বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য যাতে কোরিয়ার বাজারে ঢুকতে পারে সে ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রামে উভয় দেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রজেক্ট বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

আনন্দবাজার/এম.কে/এম.ম

সংবাদটি শেয়ার করুন