সু-সাহিত্যিক কাজী ইমদাদুল হকের ১৩৯ তম জন্ম বার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে সাহিত্যিক ইমদাদুল হকের জন্মস্থান পাইকগাছায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাহিত্যিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, পদক ও পুরুষ্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
পাইকগাছা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবল মন্টু। বিশেষ অতিথি থাকবেন, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, ওসি মোঃ এজাজ শফী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য গৌরাঙ্গ নন্দী ও কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য কবি দুখু বাঙালকে কাজী ইমদাদুল হক সন্মাননা স্বারক প্রদান করা হবে হবে বলে কাজী ইমদাদুল হক স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক প্রকাশ ঘোষ বিধান জানিয়েছেন।
কুড়ি শতকের প্রথম দিকের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান লেখকদের মধ্যে কাজী ইমদাদুল হক ছিলেন আধুনিকদের একজন ও প্রগতিশীল। তিনি ১৮৮২ সালের ৪ নভেম্বর খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইমদাদুল হকের পিতা কাজী আতাউল হক। কাজী ইমদাদুল হকের পুত্র কাজী আনারুল হক শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৮৯৬ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে এণ্ট্রাস, ১৮৯৮ সালে কলকাতা মাদ্রাসাথেকে এফএ এবং ১৯০০ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯০৩ সালে তিনি কলকাতা মাদ্রাসা একটি অস্থায়ী শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। ১৯০৭ সালে তাকে ঢাকার মাদ্রাসার শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯১৭ সালে তিনি কলকাতা ট্রেনিং স্কুলের হেডমাষ্টার পদে বদলি হন। ১৯২১ সালে ঢাকায় বোর্ড অব ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন স্থাপিত হলে কাজী ইমদাদুল হক-এর প্রথম সেক্রেটারি নিযুক্ত হন।
“আব্দুল্লাহ” উপন্যাসের জন্য কাজী ইমদাদুল হক সুপরিচিত। তিনি শিক্ষক পত্রিকা সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। শিক্ষা বিভাগে বিভিন্ন কাজে অসামান্য দক্ষতা, গভীর দায়ীত্ববোধ ও উদ্ধাবনী শক্তির স্বীকৃতি স্বরুপ তৎকালীন বৃটিশ সরকার কাজী ইমদাদুল হককে ১৯১৯ সালে খান সাহেব এবং ১৯২৬ সালে তাকে খান বাহাদুর উপাধীতে ভূষিত করেন। কাজী ইমদাদুল হক ১৯২৬ সালে ২০ মে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে
কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ