অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাজুয়েটস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস পিপলসের ‘কাউন্সিল চেয়ারম্যান’ এবং সাব অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অব রাশিয়ার ‘সভাপতি’ আলমগীর জলিল। রাশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তিনি ‘সবার বন্ধু আলমগীর’ নামে পরিচিত। বিদেশে থেকেও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করেন তিনি।
সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘নষ্ট বাসর’। আলমগীর জলিলের এজেএস ক্রিয়েটিভ মিডিয়া নিবেদিত ব্যতিক্রম গল্পের নাটকটি রচনা করেছেন প্রবীর দত্ত, পরিচালনা করেছেন সোহেল তালুকদার। প্রযোজনা করেছেন ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর জলিল। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কালিগঞ্জের নব্য সকাল শুটিং স্পটে দৃশ্যায়ন হয়েছে নাটকটির। মাত্র তিনটি চরিত্রের সমন্বয়ে গড়া জীবনের অমীমাংসিত বাস্তবতার স্পর্শকাতর গল্প ‘নষ্ট বাসর’। এতে অভিনয় করেছেন আ খ ম হাসান, আয়শা নাফিসা ও আনোয়ার হোসেন।
নাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে একটি বাসর রাতকে কেন্দ্র করে। হাসান ও নীপা দু’জনই আমেরিকার বাসিন্দা। সেখানেই তাদের পরিচয়। পরিচয় ক্ষণিকের হলেও একে অপরের প্রতি ভালোলাগার প্রেক্ষিতে দেশে আসার পর বিয়ে হয় তাদের এবং পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দু’জনের সম্মতিতে তাদের বাসর ঘর সাজানো হয় শহরের অদূরে এক নির্জন বাগান বাড়িতে। বাগান বাড়িটির মালিক হাসান নিজেই। দেশের বাইরে থাকায় এই বাগান বাড়িতে খুব একটা আসা হয় না হাসানের। তার দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই রনি গত কয়েক বছর ধরে এই নির্জন বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা। এই নির্জন বাড়িতে বাসর রাত কাটাতে এসে উন্মোচিত হয় হাসান ও নীপার জীবনের অমীমাংসিত বাস্তবতার প্রহেলিকাময় এক উপাখ্যান। একের পর এক টুইস্ট ও সাসপেন্সের মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক সোহেল তালুকদার জানান, ভিন্নধর্মী অফ-ট্র্যাকের গল্প সমৃদ্ধ নাটকের আবেদন বরাবরই কাঙ্খিত। এদিক থেকে ‘নষ্ট বাসর’ নাটকটি নিয়ে তিনি খুব আশাবাদী। অভিনয় শিল্পী থেকে শুরু করে পুরো টিমের সবাই নাটকটি নির্মাণে তাকে সর্বতোভাবে সহায়তা করেছেন। শুটিং শেষ করে এখন চলছে নাটকটির সম্পাদনার কাজ। ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় এজেএস ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। একই সাথে এই লোকেশনে তিনি শুটিং শেষ করেছেন ‘মিস ইউ’ ও ‘বাসর ঘরে বিড়াল’ নামে আরো দুটো একক নাটক।
উল্লেখ্য, সোহেল তালুকদার পরিচালিত দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘ভ্যাজাইল্লা গ্রাম’ বর্তমানে আলোচিত একটি সিরিয়াল। একুশে টেলিভিশনে প্রতি মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮:৩০টায় নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে ‘ভ্যাজাইল্লা গ্রাম’।
আনন্দবাজার/শাহী