বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প। পাশাপাশি বাড়ছে এডিপি বাস্তবায়নের সক্ষমতার হার। এডিপি বাস্তবায়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি জন্য বাংলাদেশকে বাড়তি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেয় বাংলাদেশকে। পরবর্তী তিন বছরের জন্য ঋণের পরিসীমা ঘোষণা করবে বিশ্বব্যাংক।
তবে বাংলাদেশ এবার আগের চেয়ে বেশি করে ঋণ নিতে চায় কারণ, এর পর থেকে আর স্বল্প সুদে ঋণ পাবে না তারা। ফলে, আর স্বল্প সুদে নয়, আইডিএ-২০১৯’র পরে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে বাংলাদেশকে।
এ কারণে শেষ সুযোগটা সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। আইডিএ তহবিল থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে সময় পাওয়া যেতো ৩৮ বছর। আগে এই ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ড (রেয়াতকাল) ছিল। কিন্তু, এখন এক বছর কমিয়ে পাঁচ বছর আনা হয়েছে।
আইডিএ-২০১৮’র মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২০ সালে, এই ৩ বছরে এ প্যাকেজের আওতায় সংস্থাটির প্রতিশ্রুতি ছিল ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে নিদিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ নির্ধারিত বরাদ্দের অর্থ ঋণ নিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণ অনেক দেশই সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে, এসব অব্যাবহৃত ঋণ যেন বাংলাদেশ ব্যবহার করে। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। নতুন ঋণের ভলিউমে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের ধারণা পরিবর্তন হয়েছে। সবখানেই বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বব্যাংক। আগে তাদের ঋণের জন্য নানাভাবে বলতে হতো।
এখন বিশ্বব্যাংক ঋণ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে বলে। আইডিএ-১৮ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে শুরু হবে আইডিএ-১৯। স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে চাই।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের ছয় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চায়। তবে, তার আগে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবো। তিনি রাজি হলেই ছয় বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হবে স্বল্প সুদে।
আনন্দবাজার/এম.কে