থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর গুণাগুণ। অনেক ওষুধও তৈরি হয় এই পাতার রস থেকে। আজকাল এই পাতার ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। তবে শরীরকে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুস্থ রাখতে এই পাতার জুড়ি নেই।
আসুন জেনে নেই নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
ক্ষত নিরাময়ে : কোথাও আঘাত পেলে বা কেটে গেলে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী। এই পাতা বেটে কাটা স্থানে লাগালে ব্যথা কম হয় ও রক্ত পড়াও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী ক্ষত থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে না।
শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে : অনেকের থ্রম্বোসিসের সমস্যা থাকে। এছাড়াও অনেকের দেহেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার কারণে রক্তপ্রবাহে সমস্যা হয়। থানকুনি পাতার রস খেলে রক্ত শুদ্ধ থাকে। ফলে হাত ফুলে যাওয়া, পা ফুলে যাওয়া এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রক্ত জমাট বেঁধে যায় না : থানকুনি পাতায় রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান। ফলে এটি তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে। ফলে অনেক জটিল রোগ থেকে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
শরীরের ভেতরের জ্বালা কমায় : কোনও কারণে শরীরের ভেতরে ক্ষত হলে বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন-জ্বর, ক্লান্তি এসব সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া খিদে কমে যাওয়া, পেশির ব্যথাও হতে পারে। থানকুনি পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি উপাদান থাকায় এটি জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
পেটের সমস্যা কমায় : পেটের যে কোনও রোগে থানকুনি পাতা খুব ভালো কাজ করে। আমাশয় থেকে আলসার সবই নিয়ন্ত্রণ করা যায় এ পাতা খেলে। যাদের হজমের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত থানকুনি পাতা খেতে পারেন।
মানসিক অবসাদ কমায় : যারা মানসিক সমস্যায় আছেন তাদের জন্য থানকুনি পাতার রস অনেক উপকারী। থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই দ্রুত মানসিক চাপ ও অস্থিরতা দুই কমে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে : নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পেন্টাসাক্লিক ট্রিটারপেনস নামের একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে মস্তিস্কের সেল ভালোভাবে কাজ করতে পারে। নিয়মিত এ পাতা খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
ঘুমের সমস্যা দূর করে : যাদের ঘুমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন সকালে উঠে থানকুনি পাতা ভেজানো পানি খান। এতে স্নায়ু শিথিল হবে, সেই সাথে ঘুমও ভালো হবে।
ডিটক্সিফিকেশন : থানকুনি পাতা খুব ভালো ডিটক্সিফিকেশন করে। প্রতিদিন থানকুনি পাতার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। এতে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে