কটন করপোরশন অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) চেয়ারপারসন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেপি আগারওয়াল জানান, তুলা রফতানির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বাংলাদেশে সর্বমোট ১০-১৫ লাখ বেল তুলা রফতানির লক্ষ্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারে তুলার চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণেই চলতি বিপণন মৌসুমে ভারতের তুলা রফতানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করছে দেশটির খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থাগুলো।
বিশেষ করে বাংলাদেশ, চীন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে ভারতের তুলা রফতানি বাড়তে থাকায় মোট রফতানি বৃদ্ধিতে বড় প্রভাব পড়ার প্রত্যাশা তাদের। সর্বমোট ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে ৬০ লাখ বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) তুলা রফানি করতে চায় ভারত।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশটির স্পিনিং মিলগুলো তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার শুরু করেছে। একইভাবে বৈশ্বিক স্পিনিং মিলগুলোও উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে। এ কারণে ভারতের তুলা রফতানি বাড়ছে এবং আগামীতে আরো বাড়বে।
কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিএআই) সভাপতি অতুল জ্ঞানেত্র মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিলসহ অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশের তুলনায় ভারতের তুলা অনেক সস্তা। এ কারণে বৈশ্বিক বাজারে পণ্যটির চাহিদা বাড়লে তাদের রফতানিও বাড়বে।
জ্ঞানেত্রর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে রফতানির পরিমাণ ৬৫ লাখ বেলে (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) পৌঁছতে পারে, যা গত মৌসুমের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৮-১৯ বিপণন মৌসুমে ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে মোট ৪২ লাখ তুলা রফতানি করেছিল।
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান কটন করপোরশন অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) অধীনে বর্তমানে ৫৫ লাখ বেল তুলা মজুদ রয়েছে। চেয়ারপারসন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেপি আগারওয়াল বলেন, ভারতের তুলা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা। এ কারণে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হওয়া নিলামে আমরা ক্রেতাদের বেশ আগ্রহ লক্ষ করছি। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন ও ভিয়েতনামের ক্রেতারা আমাদের দেশ থেকে তুলা রফতানি বাড়াতে নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস