ঢাকা | শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ি বিক্রিতে এনবিআরের নতুন শর্ত

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়ি বিক্রিতে নতুন শর্ত আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বন্দর থেকে খালাসের পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে না শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি। পাচ বছর পর বিক্রি করলে শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে অবচয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হারে।

অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং হাইটেক পার্কে কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন এ আদেশ প্রযোজ্য হবে।

শুল্কমুক্ত গাড়ির অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে সম্প্রতি শর্ত আরোপ করে এ আদেশ জারি করেছে এনবিআর।

ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার দেখিয়ে বিদেশ থেকে অনেকেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় নামিদামি গাড়ি এনে ব্যবসা করছে। এর ফলে গত কয়েক বছরে এ খাতে কমপক্ষে ১১৭ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।

আদেশে বলা হয়েছে, আমদানির পাঁচ বছর পর শুল্কমুক্ত গাড়ি বেজা, বেপজা বা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অন্য প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে পারবে। এক্ষেত্রে অনুমতি নিতে গাড়িটির আমদানি-সংক্রান্ত সব দলিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ এনবিআরের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন যাচাই করে হস্তান্তরের অনুমতি দিতে পারবে এনবিআর। অন্যদিকে আমদানিকারক যদি গাড়িটি বিক্রি করতে চায় তবে গাড়িটি আমদানি-সংক্রান্ত সকল দলিল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশসহ এনবিআরের কাছে বিক্রির আবেদন করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, ইনভয়েসে মূল্যের ওপর অবচয় হারের ভিত্তিতে শুল্ক নির্ধারণ করবে এনবিআর। বছর গণনার ক্ষেত্রে প্রথম নিবন্ধনের তারিখ থেকে নূন্যতম ৩৬৫ দিন অতিক্রম করতে হবে। প্রথম বছরের জন্য অবচয় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে ২০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৩০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ৪০ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ৫০ শতাংশ অবচয় হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ বছরে ৬০ শতাংশ, সপ্তম বছরে ৭০ শতাংশ এবং অষ্টম বা তার বেশি বয়সের গাড়ির জন্য ৮০ শতাংশ অবচয় হার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে হস্তান্তর বা সরাসরি বিক্রি না করে গাড়ি নিলামে বিক্রি করতে চাইলেও এনবিআরের কাছে আবেদন করতে হবে।

উল্লেখ্য, শুল্কমুক্ত সুবিধায় দামি গাড়ির মধ্যে বিএমডাব্লিউ, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন, প্রাডো টিএক্স, ডিজেলচালিত ভিএক্স, হ্যামার, পোরশে, মার্সিডিজ বেঞ্জ উল্লেখযোগ্য।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন