ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজার মনিটরিং করেও কমছে না সবজির দাম

খুলনার পাইকগাছায় সরকার কর্তৃক আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছেন না ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে বাজারে আলু। যার প্রভাবে দুর্ভোগে পড়ছেন ভুক্তভোগী জনসাধারণ। আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, টমেটোসহ শাকসবজিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। গত দু সপ্তাহ আগে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও এখন প্রতিকেজি ১৫-২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে হঠাৎ আলুর দাম বেড়ে প্রতি কেজি এখন ৪৫/৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বাকি সবজিগুলোর বেশির ভাগ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০/৮০ টাকার কাছাকাছি। এমন লাগামহীন দামে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে নিম্নবিত্ত আর খেটে খাওয়া মানুষদের।

ক্রেতারা বলছেন, কোনো পণ্যের দাম একবার বৃদ্ধি পেলে আর কমার লক্ষণ দেখা যায় না। জানা যায় পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইতিমধ্যে বাজার মনিটরিং করে প্রতিকেজি আলুর মূল্য পাইকারি/আড়ত পর্যায়ে ২৫ ও খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু কেউ তা মানছেনা। দাম নির্ধারণ করেও কোনো কিছুতেই ফলোদয় হচ্ছে না। যতক্ষণ সরকারি কর্মকর্তারা থাকে ততক্ষণ দাম কম, চলে গেলেই বেশি এমনটাই জানিয়েছেন ক্রেতারা। অধিকাংশ বাজারে টানানো নেই মূল্য তালিকা। যদিও বা কোথাও তালিকা থাকলেও এর কার্যকর নেই বললেই চলে।

উপজেলার পৌর সদরসহ,বানিজ্যিক নগরী কপিলমুনি, আগড়ঘাটা,গদাইপুর বাজারগুলোতে ঘুরে দেখাযায়, প্রতিকেজি আলুর মূল্য ৪৫, কাঁচা মরিচ ২০০, পেঁয়াজ ১০০, পটল ৫০, বেগুন ৭০, টমেটো ৮০, সিম ৮০, কাচা কলা ৬০, করলা ৮০ টাকাসহ শাকসবজি বিক্রিয় করা হচ্ছে চড়া দামে।

সিলেমানপুর গ্রামের ইদ্রিস সরদার বলেন, আমি ভ্যানগাড়ী চালিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ টাকা হয়, তাতে চাল ও বাজার করে চলতে কষ্ট হচ্ছে। পরিবারের চারজন সদস্যের এক দিনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমসিম খাচ্ছি। কোনো রকমে জীবন পার করছি। চেচুয়া গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গেলে জিনিসের দাম শুনে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম হয়। তবে কি আর করার জীবনে বেঁচে থাকতে হলে খেতেই হবে। তবে আমাদের পক্ষে এত বেশি দামে খাওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকি বলেন, ইতিমধ্যো উপজেলা সদর কপিলমুনি সহ আশপাশের বাজার গুলোতে মনিটরিং করেছি ও পাইকারী/খুচরা বাজারে ব্যাবসায়ীদের দাম না বাড়ানোর জন্য বলেছি এবং দু ব্যাবসায়ীকে আলুর দাম বেশি রাখায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানে আছি। বাজার মনিটরিং অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আনন্দবাজার/শাহী/ইমদাদ

সংবাদটি শেয়ার করুন