নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ১১ দফা দাবিতে সারা দেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে পণ্য স্থানান্তর করতে না পারায় ৪০টি বিদেশী সমুদ্রগামী বড় জাহাজে প্রায় নয় লাখ টন ও ৩৮টি ঘাটে অবস্থান করা ৮৭৪টি লাইটার জাহাজে ১২ লাখ টন পণ্য স্থানান্তর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া প্রায় ২১ লাখ টন ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আটকে পড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যানুযায়ী, বন্দরের বহির্নোঙরে ৪০টি বড় জাহাজে শস্যদানা, গম, চিনি, ডালজাতীয় খাদ্যপণ্য ছাড়াও সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার, চুনাপাথর ও জিপসাম, পাথর ইত্যাদি পণ্য রয়েছে।
নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে এসব খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল সমুদ্রগামী বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) থেকে নদীপথে চলাচলকারী ছোট জাহাজ (লাইটার জাহাজে) পণ্য স্থানান্তর করে সারা দেশে পরিবহন করা যাচ্ছে না।
চেম্বারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। লাইটার জাহাজ চলাচল না করায় সারা দেশে এসব কাঁচামাল ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বন্দরে জাহাজজট সংকট তৈরি করছে।
জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম বৃদ্ধি এবং ওভারস্টের কারণে ডেমারেজ চার্জসহ পণ্য আমদানি-রফতানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং সাধারণ ভোক্তাদের অতিরিক্ত মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা
আনন্দবাজার/ইউএসএস