ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূজোর বাজারে কাপড় বিক্রিতে মন্দাভাব

# অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক কম বিক্রি হচ্ছে
# মানুষের হাতে টাকা-পয়সার বড়ই অভাব 
# কয়েক দফা বন্যায় তাঁতীরা কাজ করতে পারেনি। তাই কালেকশনে নতুনত্ব নেই

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আর এই বৃহৎ উৎসবকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। কিন্তু এবার বাজারগুলোতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। স্বাভাবিকভাবে গত বছরের চেয়ে বিক্রয় অনেক কম হচ্ছে বলে হতাশ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। 

এবার গাজীপুরের বাজারে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীদের কাছে দেশীয় কাতান শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তারপরেই রয়েছে কুটির সিল্কের শাড়ি।

এদিকে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে নিম্নবিত্ত নারীরাও পিছিয়ে নেই কেনাকাটায়, কারণ তাদের নিজেদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশীয় শাড়ি, আর কিনছেনও তাই।

এদিকে গাজীপুর মহানগরীর কেন্দ্রস্থল জয়দেবপুর বাজারের সবচেয়ে বড় কাপড়ের দোকান মানিক বস্ত্রালয়ের শাড়ি বিক্রেতা কৃষ্ণ শাহা দৈনিক আনন্দবাজারের প্রতিবেদককে জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছে শারদীয় দূর্গাপূজা হচ্ছে ঈদের মতো।

প্রতিবছরই পূজো আসার দুই সপ্তাহ আগে থেকেই দোকানে প্রচুর ভীড় লেগে থাকতো, একেবারে দম ফেলবার ফুরসতও থাকতো না। আর এবার ভিন্ন চিত্র। পূজো উপলক্ষে বিক্রির এই অবস্থা দেখে আমরা একেবারেই হতাশ।

বিক্রেতা কৃষ্ণ শাহা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে কয়েক দফা বন্যার কারণে তাঁতীরা কাজ করতে পারেনি। তাই কালেকশনে নতুনত্ব নেই। আর অন্যদিকে ভারতীয় কাতান শাড়ির তো প্রশ্নই উঠে না।

অন্যদিকে গাজীপুর মহানগরীর মানিক বস্ত্রালয় ছাড়াও সাঈদ ভবন, মাজেদা কমপ্লেক্স, গাজীপুর ম্যানশন, মোশারফ টাওয়ার,তানভীর প্লাজা, সুমন বস্ত্রালয়, এশিয়ান টাওয়ার, স্বপ্নপুরী, উৎসব, বিউটি প্লাজা এবং চান্দনা চৌরাস্তার অনুপম সুপার মার্কেট, শাপলা ম্যানশন, রহমান শপিংমলসহ বেশ কয়েকটি শপিংমল ঘুরে ঠিক একই রকম চিত্র দেখা গেছে।

অভিজাত পাঞ্জাবী হাউজের বিক্রেতা মো: রাকিব বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পূজা উপলক্ষে অনেক কম বিক্রি হচ্ছে।একদিকে করোনা ভাইরাসের মহামারি আর অন্যদিকে বন্যার কারণেই এই বেহাল অবস্থা। মানুষের হাতে টাকা-পয়সার বড়ই অভাব।

এছাড়া করোনার সময়ে এমনিতেই আমাদের দোকানগুলো বন্ধ ছিলো। তারপর আবার খুলে দেওয়া হলেও এখন আর সুবিধা করতে পারতেছিনা। দিন যতই যাচ্ছে আমাদের বিক্রির অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে বলেও হতাশ প্রকাশ করেন তিনি।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন