ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে কচুর মুখির উপকারিতে

কমবেশি সবাই কচুর মুখি খেতে পছন্দ করে। বাজারে বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি কচুর মুখিও পাওয়া যায়। তবে একসময় এই সবজিটি ছিল মৌসুমী। কিন্তু বর্তমানে ১২ মাসই পাওয়া যায় কচুর মুখি। কচুর মুখি সাধারণত ভাজি, ভর্তা অথবা মাছ দিয়ে রান্না করা হয়ে থাকে।

তবে পছন্দের সবজি হলেও কচুর মুখিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেটা বেশিরভাগ মানুষই জানে না। শুধু পুষ্টিতেই ভরপুর নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ব্যাপক উপকারি। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক কচুর মুখির স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

# কচুর মুখি এনার্জি ধরে রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে অ্যাথলেটদের জন্য এটি খুব ভালো খাবার।

# ওজন কমাতে এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা কচুর মুখি। কারণ কচুর মুখিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম।

# এতে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে পরিপাক প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।

# ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে পরিপাক প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। সেই সাথে পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিস্কাশনেও সাহায্য করে কচুর মুখি।

# কচুর মুখিতে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম থাকে বলে ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দৈনিক ভিটামিন ডি গ্রহণের মাত্রার ১৯ শতাংশ পূরণ করা যায় এক কাপ কচুর মুখি খেয়ে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমায়।

 #  উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কম চর্বি ও সোডিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক কাপ কচুর মুখিতে ২০ গ্রাম সোডিয়াম ও ০.১ গ্রাম ফ্যাট থাকে বলে এটি হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্য অনেক ভালো খাবার। এছাড়াও কিডনি রোগীদের জন্যও ভালো।

# কচুর মুখিতে আছে ভিটামিন সি। এক কাপ কচুর মুখি দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার ১১ শতাংশ পূরণ করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এই কচুর মুখী। এছাড়াও ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়াতেও সাহায্য করে।

# কচুর মুখি খুবই পুষ্টিকর খাবার। এতে নানা ধরণের ভিটামিন যেমন- এ, সি ও বি ভিটামিন থাকে। কপার, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন এবং ক্রিপ্টোজেন্থিন নামক খনিজ উপাদান থাকে কচুর মুখিতে।

এছাড়াও এতে ১৭ প্রকারের অ্যামাইনো এসিড এবং ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ অয়েল থাকে বলে ক্যান্সার প্রতিরোধে ও কার্ডিওভাস্কুলার রোগ ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন