ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মনিটরিংয়ের অভাবে বাড়ছে সবজির দাম

রংপুরের পীরগাছায় মনিটরিংয়ের অভাবে দিন দিন বাড়ছে সবজির দাম। সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কমেনি আলুর দাম। গেল বুধবার খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এরপরেও বাজারে আলুর মূল্য কোনভাবেই কমছে না।

জানা গেছে,  আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুধু আলু নয়, বাজারে সব সবজির মূল্যই আকাশছোঁয়া। বাজারে সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো মূল্যে সবজি বিক্রি করছেন। বাজারে শীতকালীন আগাম সবজি উঠতে শুরু করলেও বেশি মূল্যের কারণে তা অসহায়-গরিবদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে।

উপজেলার কৈকুড়ী, কান্দি ও পাওটানা হাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, বড় করলা ১০০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ছোট করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, ধনে পাতা ৩০০ টাকা ও লতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি কাঁচাকলা প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা, দেশি লেবু ২০ টাকা হালি করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা জানান, চলতি মৌসুমে পাঁচ দফা বন্যা এবং বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি দিয়ে ক্রেতাদের সব চাহিদা মেটানো যেত। কিন্তু আগাম সবজি বন্যায় নষ্ট হওয়ায় বর্তমানে বাইরের উপজেলা থেকে সবজি নিয়ে এসে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, ক্রেতারা জানায়, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজির মূল্য বাড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির মূল্য একেবারেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বাজারে প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় অতিরিক্ত মূল্যে সবজি বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বর্তমানে প্রতিটি সবজিই কেজিপ্রতি কয়েক গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

এই ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, কয়েকদফা বন্যা ও বৃষ্টির কারণে আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে সবজির মূল্য বেড়ে গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও নতুন সবজি বাজারে আসবে। ফলে সবজির বাজারে অনেকটাই স্বস্তি ফিরে আসবে। সেই সাথে মূল্যও অনেক কমবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব দ্রুত বাজার মনিটরিং শুরু করা প্রয়োজন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন