স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। তবে এটা খুব কঠিন কোন কাজ নয়। নিজেদের ছোটখাট কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমেই সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এটা করার জন্য আপনাকে খুব বেশি দামি খাবার কিনতে এমন না। বরং আপনার ঘরে যে খাবারগুলো প্রায়ই থাকে সেগুলো দিয়েও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব।
যদি জানা থাকে কোন খাবারটা কখন, কী পরিমাণে, কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনি নিজেই স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে খেতে পারবেন। এমনই এই মিশ্রণ হলো গুড় এবং ঘিয়ের মিশ্রণ।
ভারতীয় পুষ্টিবিদদের ধারণা, দুপুরের খাবারের পর গুড় এবং ঘিয়ের মিশ্রন খাওয়াটা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে পুষ্টি উপাদান তো থাকেই, আবার তা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা চট করেই বৃদ্ধি পায় না।
যেমনটা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কিংবা পানীয় খাওয়ার পর হতে দেখা যায়। পুষ্টি উপাদানের মধ্যে গুড়ে থাকে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি।
অপরদিকে ঘি হচ্ছে কয়েক ধরনের ভিটামিন আর ফ্যাটি অ্যাসিডের আদর্শ উৎস। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি মেলে ঘি থেকে। এতে আরও আছে ভিটামিন কে, যা হাড়ে ক্যালসিয়াম শোষণে সহযোগিতা করে।
আসুন জেনে নেই গুড় ও ঘিয়ের উপকারিতা-
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সেই সাথে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
> শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান নির্মূল করে ডিটক্সিফাই করতে ব্যাপক সহায়ক এই মিশ্রণ।
> ত্বক, চুল এবং নখের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অনেকটাই যোগান দিতে সক্ষম হয় গুড় ও ঘিয়ের মিশ্রণ।
> এছাড়াও মন-মেজাজ ভালো করে তুলতে এবং অ্যানেমিয়াজনীত নানা সমস্যা দূর করতেও এটি ব্যাপক কার্যকর।
যেভাবে খাবেন: এক টেবিল চামচ ঘিয়ের সাথে স্বাদ মতো গুড় নিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গুড়-ঘি মিশ্রণ। বেশি উপকার পেতে হলে খেতে হবে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর।
তবে রাতের খাবারের পরও খেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত খেলে পুষ্টিকর খাবারও অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে