ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুরে বসে জমজমাট মাছের হাট। খুব ভোর বেলা থেকে শুরু হয় এখানে মাছের পাইকারী কেনাবেচা। বিল ও জলাশয়ের এসব মাছ গ্রামগঞ্জ ও শহর-বন্দরের পাইকাররা এখান থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করেন। রাজধানীয় ঢাকায়ও এই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন কেনাবেচা করলেও চলতি বছরও মহাসড়কের এই হাটে ট্রাফিক ব্যবস্থার দাবী তুলেছেন ব্যবসায়ী, পাইকার এবং আড়ৎদাররা।
নদী ও সমুদ্রিক মাছের পাশাপাশি পুকুর, বিল-ঝিলের মাছও মিলবে এই হাটে। এখানে কাচকি মাছ প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হয় ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা করে। মলা ২৮০ থেকে ৩শ’, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৩৫০ করে। শিং ৬শ’ থেকে ৬৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেনাবেচা চলে।
ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পাইকার এবং আড়ৎদাররা। চলে জমজমাট কেনাবেচা। কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় চলে পাইকারি কেনাবেচা। প্রতি কেজি পাবদা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুই মাছের দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা করে। এছাড়া তেলাপিয়া মাছের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। তবে এবার মহাসড়কে মাছ কেনাবেচার সময় ট্রাফিক ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি স্থায়ী টোলঘরের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়ৎদাররা।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন এই মাছের হাটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কেনাবেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে