ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় ৭২০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ

দেশের বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। এ বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে পাবনার নয়টি উপজেলায় আবাদকৃত মরিচ গাছ মরে যাওয়ার ফলে পণ্যটির দাম ক্রেতাদের ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ এ পণ্যটি কিনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।

এ অবস্থা থেকে নিস্কৃতির জন্য পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জন্য চলতি মৌসুমে জেলার নয়টি উপজেলায় ৭২০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১ হাজার ১৩৮ টন শুকনা মরিচ উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার নিম্নাঞ্চল বর্ষা ও অতিবৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় মরিচ গাছ মরে গেছে। এ কারণে শীত মৌসুমে জেলার ৭২০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। এক মাসের মধ্যে ফসল পাওয়া যাবে বলে আশা তাদের।

এছাড়া আটঘড়িয়া উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমি মরিচ আবাদের আওতায় আনা হয়েছে, যা থেকে ১২৬ টন শুকনা মরিচ উৎপাদন হবে। ঈশ্বরদী উপজেলার ২০০ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদন হবে ৩১৬ টন, চাটমোহর উপজেলার ৭০ হেক্টর থেকে উৎপাদন হবে ১১১ টন, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাঁচ হেক্টর থেকে উৎপাদন হবে আট টন, ফরিদপুর উপজেলার ১০ হেক্টর থেকে উৎপাদন হবে ১৬ টন, বেড়া উপজেলার ৫০ হেক্টর থেকে উৎপাদন হবে ৭৯ টন, সাঁথিয়া উপজেলার ৫৫ হেক্টর থেকে উৎপাদন হবে ৮৭ টন এবং সুজানগর উপজেলার ৮০ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদন হবে ১২৬ টন শুকনা মরিচ।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন