দেশের কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের নানা অজুহাত দেখিয়ে ঋণ দিচ্ছে না ব্যাংকগুলো। এতে দেশের কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। হুমকির মুখে পড়েছে দেশের কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ কারণে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি বিশেষ ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ইতোমধ্যে একটি ব্যাংক গঠনের অনুমতি চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছে।
বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হোসেন বলেন, দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করতে হলে শিল্পের বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। এসএমই নীতিমালা অনুযায়ী আমরা একটি ব্যাংক খুলতে চাচ্ছি। শিল্প মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছি। ব্যাংক চালানোর মতো শতভাগ সক্ষমতা বিসিকের আছে। ব্যাংক হলে দেশে কোটি কোটি উদ্যোক্তা তৈরি হবে। সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা সহজে ব্যাংক থেকে ঋণ পান না। তারা চড়া সুদে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ফলে টিকে থাকা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
‘ব্যাংকটি যদি আমরা করতে পারি, তা হলে প্রতি বছর যে ২০ হাজার উদ্যোক্তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেই, তারা সহজে ঋণ পাবেন। তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে যাবেন। এতে রাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়াবে। উন্নত দেশ গঠনে এর কোনো বিকল্প নেই।’
‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ নিয়ে টাকা মেরে দেয় না’ সিএমএসএমই খাতের লোকরা ব্যাংক ও এনজিও টাকা মেরে দিয়েছে এমন কোন রেকর্ড নেই। তারা ঋণ নিয়ে সঠিক সময়ে ফেরত দেন বলেও দাবি করেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হোসেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস