ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরবরাহ সংকটে অস্থির শুকনো মরিচের বাজার

সারাদেশে উৎপাদিত মরিচের পর্যাপ্ত মজুদ, আমদানি, ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দেশীয় শুকনো মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

দেশে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই সপ্তাহ পূর্বে ভারত থেকে আমদানীকৃত প্রতি কেজি শুকনো মরিচ ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে একই মানের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮৭-১৯০ টাকায়।পাশাপাশি দেশীয় শুকনো মরিচের দাম ১৫-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪২-১৪৫ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক অমল সাহা জানান, দেশীয় চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ হলো ভারতীয় মরিচ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে কয়েক মাস ধরে ভারতীয় মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। আমদানি কমলেও দেশের সবচেয়ে বড় দুই ধর্মীয় উৎসব রমজান ও কোরবানির ঈদে দেশীয় মজুদের সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়েছে।

‘বর্তমানে দেশীয় মজুদ কমে আসায় পাইকারি বাজারে শুকনো মরিচের চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে দামও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মসলাজাতীয় পণ্যটির।’

বাংলাদেশে শীতকালীন রবি মৌসুম শুরু হয় ১৫ অক্টোবর থেকে। আর এ মৌসুমের পণ্য শুকনো মরিচ। এ সময়ে আবাদ হওয়া মরিচ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুকিয়ে বাজারজাত ও মজুদ করা হয়। রবি মৌসুমের পর বর্ষা পর্যন্ত সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকে। এর পরই শুরু হয় শুকনো মরিচের সরবরাহ সংকট।

এ সময় দামও বাড়তে থাকে, সেসময় দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা ভারতীয় শুকনো মরিচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে পণ্য সরবরাহ কিছুটা শ্লথ হওয়ায় পণ্যটির দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন