ঢাকা | শুক্রবার
২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্যটক শূন্যতায় ফুকেট

থাইল্যান্ডের পর্যটন নগরী ফুকেট যেন ভুতুড়ে নগরীতে দাঁড়িয়েছে। খালি বারগুলোতে নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত নৃত্যশিল্পীরা। সুইমিং পুলগুলোতেও নেই কেউ। আর রেস্তোরাঁগুলোয় খালি পড়ে থাকছে অসংখ্য চেয়ার। একসময় সমুদ্রসৈকতগুলোয় যেখানে হাজারো মানুষের আনাগোনা হতো, এখন সেগুলো এতই নির্জন যে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ এসে বাসা বাঁধছে।

থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় জনপ্রিয় এ পর্যটন নগরীতে গত বছর ৯০ লাখেরও বেশি পর্যটক আসতো। তবে এখন দ্বীপটির তিন হাজার হোটেলের বেশির ভাগই বন্ধ রয়েছে। প্রধান শহর পাতং ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য স্থানীয় টাইকুন প্রিচায়ুত কিসিনের। তার মালিকানায় থাকা পাঁচটি নাইট ক্লাব ও ৬০০ হোটেল রুমের বেশির ভাগই খালি পড়ে রয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে ফুকেটের আয়ের ৮০ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে। এখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ কাজ করছে। তাদের অধিকাংশই নিজ প্রদেশে ফিরে গেছে। যারা রয়ে গেছে, তাদের জীবনও অনেক কষ্টের। অনেকেই বড় অংকের বেতন কর্তন গ্রহণ করে নিয়েছে। আবার কেউ কেউ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোয় লাইনে দাঁড়িয়ে খাদ্য সংগ্রহ করছে।

মহামারীর পূর্বে দেশীয় পর্যটক ছিল মোট পর্যটকের মাত্র ৩০ শতাংশ। করোনা মহামারীতে স্থানীয় পর্যটন চাঙ্গার গুরুত্ব অনুধাবন করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় পর্যটকদের আকর্ষণে বিভিন্ন প্যাকেজ চালু করছে হোটেলগুলো। এর ভিতরে আছে মাত্র ৩০ ডলারে দুই রাত হোটেলে অবস্থানের সুযোগ। তিন বছরের পূর্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন