ভারতীয় সরকার বেঙ্গালুরু রোজ ও কৃষ্ণপুরাম— সম্প্রতি এই দুই জাতের পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর এই প্রথম দুই জাতের পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিল দেশটির সরকার। গেল ৯ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার এক নির্দেশে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞা তুলে এই আদেশ জারি করা হয়।
কিন্তু এই রফতানিতে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে এ সকল পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে তবে, প্রতি জাতের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টন ও জাহাজীকরণ করতে হবে ভারতের চেন্নাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকবে।
তবে এমন শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসবে কি না সেটা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অনিশ্চয়তা । কারণ ভারত থেকে বাংলাদেশে সকল ধরনের পেঁয়াজ আমদানি হয় মূলত স্থলবন্দর দিয়ে, এখন পর্যন্ত সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এ দেশে পেঁয়াজ আমদানির রেকর্ড নেই।
অপরদিকে ভারতের সেই পেঁয়াজ এলে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
এই ব্যাপারে পেঁয়াজ আমদানিকারক ওকেএম ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসিয়র রহমান জানান, আমি মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ এনেছি, পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আসার পথে রয়েছে। তবে ভারতের এই খবরে আমি আমদানি অনুমতি নিলেও এখন আর ঋণপত্র খুলব না।
তিনি মনে করছেন, রফতানির নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভারতের প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এর ফলে দুই জাতের পেঁয়াজ রফতানির খবর বাংলাদেশের আমদানিকারকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াবে নিশ্চিত। তাই সরকার চাইলে একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। সেটি হচ্ছে কত দিন পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে তার একটি ঘোষণা দেওয়া। তাহলে আমদানিকারকরা নিশ্চিন্তে তত দিন পর্যন্ত বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনবেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে